রুমা রায়
প্রাক্তন আন্তর্জাতিক তিরন্দাজ শ্রীমতি রুমা রায়ের (দে) জন্ম 1962 সালের 5 নভেম্বর কলকাতায়। তিনি স্পোর্টস অথরিটি অফ ইণ্ডিয়ার তিরন্দাজির চিহ্ন কোচ ছিলেন। দর্শন বিভাগে স্নাতকোত্তর হলেও খেলাধূলার প্রতি ছিল অদম্য নেশা। স্কুল জীবনে রাইফেল শুটিং করলেও পরবর্তী কালে তিরন্দাজির প্রতি আগ্রহী হন। শ্রীমতি রুমা প্রণয় সূত্রে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কবি কেতকীপ্রসাদ রায়ের সঙ্গে 1992 সালে। তিনি জুনিয়র ও সিনিয়র বিভাগে ছয়বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ান এবং এক বার জাতীয় গেমস চ্যাম্পিয়ান হন। বহুবার তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে তিরন্দাজি প্রতিযোগিতায় ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত নবম এশিয়াডে (IX Aslad’82) তিরন্দাজি মহিলা দল পঞ্চম স্থান অধিকার করে, সেই দলে রুমা রায় প্রতিনিধিত্ব করেন। তাছাড়াও দেশে-বিদেশে বহু আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভারতীয় দলে উল্লেখযোগ্য নাম হিসাবে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল। তিনি ভারতীয় তিরন্দাজি দলের কোচ হয়ে বহু আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করেছেন। খেলোয়াড় জীবনের মতো কোচিং জীবনের পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর কোচিং-এ বহু তিরন্দাজ প্রশিক্ষণ নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে পদক এনেছেন এবং অলিম্পিকে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পরবর্তী সময়ে সেই সব খেলোয়াড় রাষ্ট্রপতি পুরস্কার-অর্জুন প্রভৃতি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। তিনি বেসরকারী বহু পুরস্কারে সম্মানিত হলেও 2014 সালে বিকানীর (রাজস্থান) থেকে ‘একলব্য পুরস্কার’এবং ভারতীয় তিরন্দাজি সংস্থার 40 বছর পূর্তি উপলক্ষে 40 Years Celebration Award সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। সরকারি ভাবে তাঁকে 2010 সালে ৪০ দশকের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের তদানিন্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেন। আবার 2015 সালে তাঁকে জাতীয় গেমসে বাংলায় পদক আসার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক তাঁকে কোচ হিসাবে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করেন এবং 2021 সালে তাঁর দীর্ঘ 33 বছরের চাকরি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তিনি সাইয়ের চিহ্ন কোচ হন । তাঁর তিরন্দাজি খেলায় উৎসর্গীত 45 বছর জীবনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা ব্যানার্জী 2020 সালে 'বাংলার গৌরব’অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করেন।